আপনি কি আসলেই খাটি ঘি পাচ্ছেন?
আমরা খাবারের স্বাদ এবং ঘ্রান বৃদ্ধির জন্য, খাবারে ঘি দিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা যে ঘি খাচ্ছি সেটা কি খাটি ঘি?
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ প্রোডাক্ট-এ ভেজাল থাকে। খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন, মাছে ফরমালিন বা ফল-মুল এ কেমিক্যাল যুক্ত করা আমাদের কাছে পরিচিত ব্যাপার। কিন্তু ঘি তেও ভেজাল মিশ্রন করা হতে পারে নানা ভাবে।
প্রথমে জানবো, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে খাটি ঘি চিনবেন এবং তারপর দেখব ল্যাব পরিক্ষার মাধ্যমে ভেজাল ঘি কিভাবে চিনবেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে, তাহলে ফেজবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। নিজে ভেজাল খাদ্য থেকে নিরাপদ থাকুন আর বন্ধুদের নিরাপদ রাখুন।
খাটি ঘি চেনার ঘরোয়া উপায় সমুহঃ
যারা নিয়মিত ঘি খান, তারা অনেকে ঘি দেখেই চিনতে পারেন। তবে যারা নতুন শুরু করবেন বা অনলাইন থেকে অর্ডার করবেন, তারা চাইলে সহজেই নিচের পদ্ধতিতে ঘি পরিক্ষা করে নিতে পারেন।
০১(এক):
ঘি সাধারনত ঘরম অবস্থায় দ্রুত গলে যায়। আপনি যেকোন প্যান এ সামান্য একটু ঘি রেখে গরম করুন। দ্রুত গলে গেলে খাটি ঘি। খাটি ঘি সাধারনত গলে বাদামি বর্ণ ধারন করে। তবে ঘি তে ভেজাল থাকলে অনেক সময় হলুদ রঙ ধারন করে বা গলতে কিছু সময় নেয়।
০২(দুই):
ঘি ত্বকের স্পর্শে গলে যায়। তাই সামান্য পরিমান ঘি হাতের তালুতে নিয়ে ঘষুন। খাটি ঘি হলে, গলে যাবে। তখন ঘি এর গন্ধ পাবেন। যদি কিছুক্ষণ পরই গন্ধ আসা বন্ধ হয় তবে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো আছে।
০৩(তিন):
ঘি গরম করার পর ঠাণ্ডা করলে একই লেয়ার এ জমে। তাই সামান্য একটু ঘি কাচের জার এ সামান্য গরম করে, ঠাণ্ডা করুন এবং ফ্রিজ এ রেখে দিন। এতে যদি ১ লেয়ার থাকে তাহলে খাটি ঘি।
আর যদি ২ লেয়ার হয়, পাত্রের নিচের দিকে সাদা জমাট বেঁধে থাকে এবং উপর দিকে তেল উঠে থাকে, তাহলে ঘি তে ভেজাল আছে। সাধারনত নারকেল তেল এর মিশ্রন থাকলে এ রকম হয়ে থাকে।
ইকিনি তে পাচ্ছেন, পাবনা থেকে নিজস্ব লোক দিয়ে সংগ্রহ করা খাটি ঘি। আমরা ম্যানুয়ালি ঘি সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকি। ঢাকার মধ্য হোম ডেলিভারির সুযোগ রয়েছে। অর্ডার করতে ইকিনির শপ বা ফেজবুক পেইজ ভিজিট করতে পারেন।
খাটি ঘি এর ল্যাব পরিক্ষাঃ
ল্যাব এ পরিক্ষার মাধ্যমে খাটি ঘি চেনা যায়। তবে এ পদ্ধতি গুলো সময় সাপেক্ষ এবং সহজ নয়। তার পরও যদি কেউ পরিক্ষা করতে চান, নিচের পরিক্ষা গুলো করে খাটি ঘি সনাক্ত করতে পারেন।
ঘি এর পরীক্ষা গুলো সাধারনত হাইড্রোক্লোরিক এসিড এর সাহায্যে করা হয়ে থাকে। ল্যাব এর পরিক্ষার মাধ্যমে সাধারনত কি ভেজাল মেশানো আছে সেটা জানা যায়।
০১(এক):
কোলটার ডাই এর সাথে হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশ্রনে লাল রঙ উৎপাদন করে। তাই এক চামচ ঘি তে ৫মিলি পরিমান হাইড্রোক্লোরিক এসিড যুক্ত করে দেখুন। খাটি ঘি হলে লাল রঙ উৎপাদন করবে না।
০২(দুই):
সিদ্ধ আলুর সাথে আয়োডিন যুক্ত করলে নীল রঙ উৎপাদন করে। সিদ্ধ আলু সনাক্ত করার জন্য ঘি তে ৫ ড্রপ আয়োডিন যুক্ত করুন। খাটি ঘি হলে কালার পরিবর্তন হবে না। আর সিদ্ধ আলু থাকলে নীল কালার দেখা যাবে।
০৩(তিন):
ডালডা, হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিলে লাল বা লালচে বাদামি কালার উৎপাদন করে। তাই সামান্য ঘি নিয়ে সেটাতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশিয়ে দেখুন। বাদামি বর্ন হলে ডালডা আছে বুঝা যাবে।
০৪(চার):
ঘি তে অনেক সময় তিলের তেল মেশানো থাকে। ১০০ মিলি ঘি তে ফারফিউরাল এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড মেশালে যদি লাল রঙ ধারন করে তাহলে বুঝবেন, সেটায় তিলের তেল মেশানো আছে।
প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান কালে ঘি ব্যাপক জনপ্রিয় কারন এটা খাবারের স্বাদ এর সাথে স্বাস্থ ভালো রাখে। ঘি তে ভেজাল থাকলে সেটা স্বাস্থ্য জন্য খারাপ হবে। ঘি খাওয়ার মুল উদ্দেশ্য ব্যার্থ হবে।
এক সময় অসুস্থ হয়ে পরবেন, ভেজাল ঘি খাওয়ার জন্য। সামান্য অসাবধানতা, বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই আর্টিকেল এর পরে আর ভেজালমুক্ত ঘি চিনতে ভুল হবে না আশা করি।
ইকিনি তে পাচ্ছেন, পাবনা থেকে নিজস্ব লোক দিয়ে সংগ্রহ করা খাটি ঘি। আমরা ম্যানুয়ালি ঘি সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকি। ঢাকার মধ্য হোম ডেলিভারির সুযোগ রয়েছে। অর্ডার করতে ইকিনির শপ বা ফেজবুক পেইজ ভিজিট করতে পারেন।
Informative
Thank you Jamil for reading the blog. I hope this will be helpful for you. Stay safe.
ভাইয়া, আমার বাসায় যে ঘি আছে, তার নিচে একটু জমা আর বাকি পুরোটাই তেল। মানে চার ভাগের এক ভাগ জমা আর তিন ভাগই তেল। এখন আমার ধারনা ঘি পুরোটাই দানাদার হয়ে জমে গেলেই সেটা খাঁটি ঘি। দুই দিন হয়ে গেল জমছে না আর। এটা কি আর জমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?